Posts

Showing posts from April, 2019

কেন তুলসীকে জলদান কর্তব্য?

Image
শ্রীশ্রী তুলসী জলদান উৎসব: আলোচনা: সৌর বৈশাখ মাসে যেহেতু সূর্যের তাপ বৃদ্ধি পায়, তাই বিষ্ণুভক্তগণকে জলদান করা হলে শ্রীহরি অতিশয় প্রিয় হন। শ্রীহরির কৃপাপূর্বক তাঁর থেকে অভিন্ন শ্রীতুলসীবৃক্ষে জলদানেরও অপ্রাকৃত এক সুযোগ প্রদান করেন। কিন্তু কেন তুলসীকে জলদান কর্তব্য? তুলসী শ্রীকৃষ্ণপ্রেয়সী, তাঁর কৃপার ফলেই আমরা শ্রীকৃষ্ণের সেবার সুযোগ লাভ করতে পারি। তুলসীদেবী সম্বন্ধে বলা হয়েছে, তুলসী দর্শনেই পাপসমূহ নাশ হয়, জলদান করলে যম ভয় দূর হয়, রোপণ করলে তাঁর কৃপায় কৃষ্ণভক্তি বৃদ্ধি পায় এবং শ্রীহরির চরণে অর্পণ করা হলে কৃষ্ণপ্রেম লাভ হয়। পদ্মপুরাণের সৃষ্টিখন্ডে (৬০.১০৫) বৈষ্ণবশ্রেষ্ঠ শ্রীমহাদেব পুত্র কার্তিককে বলেন, সর্বেভ্যঃ পত্রপুষ্পেভ্যঃ সত্তমা তুলসী শিবা। সর্বকামপ্রদা শুদ্ধা বৈষ্ণবী বিষ্ণুসুপ্রিয়া ॥ সমস্ত পত্র ও পুষ্পের মধ্যে তুলসী হচ্ছেন শ্রেষ্ঠা। তুলসী সর্বকামপ্রদা, মঙ্গলময়ী, শুদ্ধা, মুখ্যা, বৈষ্ণবী, বিষ্ণুর প্রেয়সী এবং সর্বলোকে পরম শুভা। ভগবান শিব বলেন, যো মঞ্জরীদলৈরেব তুলস্যা বিষ্ণুমর্চয়েঃ। তস্য পুণ্যফলং স্কন্দ কথিতুং নৈব শক্যতে ॥ তত্র কেশবসান্নিধ্যং যত্রাস্তি তুলসীবনম্...

তুলসী মহিমা

📚 তুলসী মহিমা 📒 👉হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের কাছে গুল্মজাতীয় খর্বাকার উদ্ভিদ তুলসী গাছ অতি পবিত্র বিবেচিত। সম্ভবত একারণে তুলসী গাছ নেই এমন হিন্দুবাড়ী পাওয়া যাবে না। হিন্দুবাড়ীর তুলসী গাছগুলোর গোড়ায় ত্রিসন্ধ্যা জল ও আরতী পায়। এছাড়াও প্রতিদিনের গৃহ দেবতার পূজোয় বা ভোগে তুলসী পাতা, মঞ্জুরী ব্যবহার করা হয়। তুলসীর অতি পবিত্র বলে হিন্দু শাস্ত্রাদিতে বর্ণিত আছে “ যারা প্রত্যহ তুলসীর দর্শন, স্পর্শন, ধ্যান, গুণ কীর্তন, প্রণাম, গুণশ্রবন, রোপন, জল প্রদান ও পূজা এই নয় প্রকারে তুলসীর ভজনা করেন তারা সহস্র কোটি যুগ পর্যন্ত বিষ্ঞুলোকে বসতি লাভ করেন” । হিন্দুরা প্রতিদিন তুলসী পূজোয়ে যে সকল মন্ত্র বা শ্লোক বলে সেগুলো হল – • তুলসীতে জলদান মন্ত্র- “ওঁ নমো গোবিন্দবল্লাভাং দেবীং ভক্ত চৈতন্যকারিনীম্ স্নাপয়ামি জগদ্ধাত্রীং বিষ্ণুভক্তি প্রদায়িনিম্।” • তুলসী প্রণাম মন্ত্র- “ওঁ নমোবৃন্দায়ৈ তুলসীদেবৈ প্রিয়ায়ৈ কেশবস্য চ কৃষ্ণভক্তিপ্রদে দেবীঃ সত্যবত্যৈ নমোনমঃ।।” • তুলসী চয়ন মন্ত্র- “নমতুলস্যমৃতনামাসি সদা ত্বং কেশব প্রিয়ে কেশবার্থে চিনোমি ত্বাং বরদা ভব শোভনে।।” (দ্বাদশী তিথিতে তুলসী চয়ন নিষিদ্ধ) • তুলসী প্রদক্ষি...

তুলসী আরতি/বন্দনা:

Image
🌻 তুলসী আরতি/বন্দনা: 🌻 নমো নমঃ তুলসী কৃষ্ণ প্রেয়সী। রাধাকৃষ্ণ সেবা পাব এই অভিলাষী।। যে তোমার শরণ লয় তার বাঞ্ছা পূর্ন হয়।। কৃপা করি কর তারে বৃন্দাবনবাসী।। মোর এই অভিলাষ,বিলাস কুঞ্জে দিও বাস।। নয়নে হেরিব সদা যুগল রুপ রাশি।। এই নিবেদন ধর,সখীর অনুগত কর, সেবা অধিকার দিয়ে কর নিজ দাসী। দীন কৃষ্ণদাসে কয়,এই যেন মোর হয়।। শ্রী রাধাগোবিন্দ প্রেমে সদা যেন ভাসি।। 🌼 হরেকৃষ্ণ 🌼

🍃তুলসী পত্র অর্পণ🍃

Image
🍃 তুলসী পত্র কাকে অর্পন করবো?   🍃 গুরুদেবকে ও কি অর্পন করা যাবে? 🌻 আলোচনা   💫 👉তুলসী পত্রের সঠিক ব্যবহার সম্পর্কে আমরা অনেকেই জানিনা। শুনুন - শ্রী গোবিন্দের চরণ ব্যতীত তুলসীপত্র অর্পণ করতে নেই। তুলসীপত্র দিয়ে শ্রীবিষ্ণু তত্ত্বের অর্চনা করা কর্তব্য ৷ তুলসীদেবী কৃষ্ণশক্তি, শ্রীকৃষ্ণের প্রিয়তমা ৷ তিনি পরম বৈষ্ণবী ৷ গুরুদেব ভগবানের মতো শ্রদ্ধেয় হলেও তিনি কখনই ভগবান নন ৷ তিনি ভগবানের প্রিয় সেবকমাত্র ৷ তিনি ভগবানের ভক্ত ৷ আর তুলসী হচ্ছেন গোবিন্দবল্লভা ও শ্রীকৃষ্ণের প্রেয়সী ৷ একমাত্র বিষ্ণুতত্ত্ব ব্যতীত কারও চরণে তুলসীপত্র অর্পণ করা কখনই উচিত নয় কারণ তা মহা অপরাধ ৷  . তবু ও যদি কেউ অর্পণ করে তবে সে তত্ত্বজ্ঞানহীন হয় এবং তার সেবা অপরাধ হয় ৷ আর যে তত্ত্বজ্ঞানহীন পাষণ্ড গুরুদেব বা অন্য কোন ব্যক্তির চরনে তুলসী অর্পণ করে তার নরকগতিই লাভ হয় ৷ মহর্ষি ব্যাসদেব উল্লেখ করেছেন যে — তুলসীদল মাত্রায় যোহন্যং দেবং প্রপূজয়েৎ ৷ ব্রহ্মহা স হি গোঘ্নশ্চ স এব গুরুতল্পগঃ ৷৷ “যে ব্যক্তি তুলসীপত্র দ্বারা অন্য দেবদেবীর পূজা  করে তার নিশ্চয়ই ব্রহ্মহত্যা, ...